দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে আসা তরুণদের বুকে স্বপ্নবুননে নিবিড়ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। পেশাদারি স্নাতক তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন।
দেশ এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া আইইউবিএটির অন্যতম লক্ষ্য। ‘অ্যান এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনড ফর লার্নিং’; অর্থাৎ, জ্ঞান অর্জনের উপযুক্ত পরিবেশ, এমন স্লোগান সামনে রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি চেষ্টা করেছে শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। সময়োপযোগী, মানসম্মত ও ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখে, এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায় আইইউবিএটি।
গত তিন দশক ধরে বিভিন্ন দেশী- বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সফলতা এবং দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে আইইউবিএটির স্নাতকরা। এই সুনামের জন্যই ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান তার দেশের নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় অবদান রাখতে আইইউবিএটির নীতিনির্ধারকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রব এবং কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। এসময় তিনি ফিলিস্তিনের নারী শিক্ষার্থীদের আইইউবিএটিতে ভর্তি করানোর বিষয়ে আলোচনা করেন। এর পাশাপাশি আইইউবিএটি এবং ফিলিস্তিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গবেষণা, শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্যের আদান প্রদানের বিষয়ে ও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন উচ্চ শিক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আইইউবিএটি বিশেষ বৃত্তি দিয়ে এসেছে। এবার ৫০ জন ফিলিস্তিনের নারী শিক্ষার্থী বৃত্তিসহ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। যা সারা বিশ্বে উচ্চ শিক্ষায় বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি আরো যুক্ত করেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অধ্যাপক এম আলিমউল্যা মিয়ান শিক্ষাদানে নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। জন্ম থেকে যে পারিবারিক আদর্শে তিনি বড় হয়েছেন, তা তিনি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে। অর্থের অভাবে দেশের কোনো মেধাবী মানুষ যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই উদ্যোগে কাজ করে গেছেন জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত। এই ঐতিহ্য ধরে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে আইইউবিএটি।
আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সময়োপযোগী, মানসম্মত ও ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখে, শিক্ষার্থীদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। আছে মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউট, যা বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য শিক্ষক ও গবেষকদের গবেষণা মঞ্জুরি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ব্যবসায় প্রশাসন, পরিবেশ, জলবায়ু, টেকসই উন্নয়ন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। আইইউবিএটিতে উপস্থিত হয়ে সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য তিনি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আইইউবিএটির প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ মিয়া, ব্যবসায় অনুষদের ডিন এবং আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের পরিচালক মোজাফফর আলম চৌধুরী এবং আইইউবিএটির প্রক্টর এবং আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের উপপরিচালক মো. সাদেকুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
Leave a Reply